চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবারও ধরা খেল ওষুধ চোর। হাসপাতাল থেকে ওষুধ চুরি করে পালানোর সময় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা হাসপাতালের মেইন গেটের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন দিলীপ কুমার নাথ (৪৫), আশীষ দাশ (৪৫) ও পলাশ ধর (৩২)।
গত ২১ জুন সার্জারি ওটির অফিস সহায়ক গোলাম রসুল ওষুধসহ ধরা পড়লে তাকে হাসপাতালে দেড় দিন রাখার পর আদালতে চালান করে পুলিশ।
তারও আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেলের দুই কর্মচারীকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার সরকারি ওষুধসহ আটক করা হয়। তারা হলেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি স্টাফ আশু চক্রবর্তী ও আউটসোর্সিং কর্মচারী মো. সৈয়দ। ওই ঘটনায় সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ওই ঘটনায় হাসপাতালের স্টোর কর্মকর্তা ডা. মো. হুমায়ুন কবির বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন৷
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে সুমন বড়ুয়াকে (৩০) আটকের পর শুরু হয় তদন্ত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের ওষুধ চুরির চক্রের সদস্যদের নাম বলেন তিনি।
এরপর সুমন বড়ুযার তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেলের মূল ফটকের সামনে থেকে বিপুল পরিমাণ চুরি করা সরকারি ওষুধসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘গত সপ্তাহের ওষুধ চুরির ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার আসামি অজ্ঞাত তিনজনকে আজকে সকাল ৮টার দিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকার সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়।’
আটক তিনজনকে কীভাবে শনাক্ত করা হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলার পরপরই আমাদের তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে তাদের নাম আসে। তাই তাদের আটক করা হয়েছে। এই চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে তাদের বড় একটা চক্র আছে। আমরা চেষ্টা করছি চক্রের সব সদস্যকে আটক করার।’
আরএ/ডিজে