নাটকীয় নানা ঘটনার পর চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে বিটুমিনসহ বঙ্গোপসাগরে আটক চীনের পতাকাবাহী জাহাজ। আদালতের নির্দেশে ১৮ জুন জাহাজটি আটক করে সরকারের নৌ বাণিজ্য দপ্তর। আবার আদালতেরই অপর একটি আদেশে জাহাজটি ছেড়ে যায় চট্টগ্রাম বন্দর। এর আগে খালাস করা হয়েছে জাহাজে থাকা বিটুমিন।
চীনের পতাকাবাহী জাহাজটিতে পিএইচপি গ্রুপ ও মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্সের (এমইবি গ্রুপ) আমদানি করা ১১ হাজার ২২০ টন খোলা বিটুমিন ছিল।
চীনের পতাকাবাহী ওই জাহাজটির নাম ‘গোয়াং ঝু ওয়ান’। আটকের পর চট্টগ্রাম বহির্নোঙ্গর থেকেই খালাস করা হয় আমদানি করা এসব বিটুমিন।
চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজাভেটর (ডিসি) ক্যাপ্টেন ফরিদ উদ্দিন বলেন, আদালতের আদেশে আটক হয়েছিল বিটুমিনসহ চীনের জাহাজটি। এখন আদালতে অপর আদেশেই চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে ‘গোয়াং ঝু ওয়ান’।
জাহাজটির পক্ষে স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এবং মামলাকারী আমদানিকারকের মধ্যে ‘সমঝোতা’ হওয়ায় আদালত আটকের রায়টি পরিবর্তন করে জাহাজটিকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস যুগ্ম কমিশনার (জেটি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে মান পরীক্ষার পর বিটুমিন খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বুঝে পেয়েছে।
জানা গেছে, ২১ মে দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ১১ হাজার ২২০ টন বিটুমিন নিয়ে আরব আমিরাতের শারজার হামরিয়া সমুদ্রবন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে জাহাজটি। কিন্তু বন্দরের ডলফিন জেটিতে ভেড়ার অনুমতি না পাওয়ায় বিটুমিনগুলো খালাস করা যায়নি।
পরে এর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিএইচপি গ্রুপের পক্ষ থেকে ২৪ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে জাহাজ মালিক ও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে মামলা করে হাইকোর্টে। ৯ জুন মামলার শুনানি শেষে জাহাজটি আটক করার নির্দেশ দেন আদালত। এরপরই জাহাজটি আটক করে নৌ বাণিজ্য দপ্তর।
এদিকে বহির্নোঙ্গরে আটক থাকা অবস্থায় ১৮ জুন বিকেল থেকে ওই জাহাজ থেকে বিটুমিনগুলো খালাস শুরু হয়। ২১ জুন বিটুমিন খালাস শেষে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা হয় জাহাজটি।
চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘পিএইচপি গ্রুপ ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ চেয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করলে আদালত জাহাজটি জব্দ করার নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের ভিত্তিতে আমরা জাহাজটি জব্দ করি। এরপর আদালতেরই অপর একটি আদেশে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে গেছে।’
এএস/কেএস/সিপি