৩২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ বিক্রি করা হল ১০ লাখ টাকায়। কক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয় জেলেদের জালে ধরা পড়া মাছটি বিক্রির জন্য দাম হাঁকানো হয়েছিল ১৪ লাখ টাকা।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় মাছটি ‘কালা পোয়া’ নামে পরিচিত।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাটে সৈয়দ আলমের ফিশারিতে মাছ ধরা ট্রলারটি ৩২ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের কালো পোয়া ধরা পড়ে।
জানা গেছে, বুধবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকার সালেহ আহমেদের মালিকানাধীন ট্রলারে করে ১০জন মাঝিমাল্লা বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যান।
শনিবার সকালে কালা পোয়া মাছটি জালে আটকা পড়লে জেলেরা ট্রলারের মালিক সালেহ আহমদকে বিষয়টি জানান। ট্রলার মালিক সালেহ আহমদ বলেন, ৩২ কেজি ২০০গ্রাম ওজনের কালো পোয়া মাছটি বিক্রির জন্য দাম হাঁকানো হয় ১৪ লাখ টাকা। এখানে মাছটি কেজিপ্রতি ২৫ হাজার টাকা মূল্য ধরে মোট সাড়ে সাত লাখ টাকায় কিনতে আগ্রহ দেখান স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী জামাল হোসেন।
তবে এলাকার মাছ ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ ১০ লাখ টাকা দামে মাছটি কিনে নেন বলে জানান ট্রলার মালিক সৈয়দ আহমেদ।
স্থানীয়রা বলেন, মাছটির এতো দাম হবার অন্যতম কারণ ফদনা বা ফুলা।
টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে ৩২ কেজি ওজনের বড় পোয়া মাছটি ধরা পড়ার খবর তিনি শুনেছেন। সাধারণত এত বড় পোয়া মাছ ধরা পড়ে না।
তিনি জানান, এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি। পোয়া মাছের বায়ুথলি বা এয়ার ব্লাডারের কারণে মাছটির মূল্য বেশি। এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হয়, এ জন্য মাছটির এত দাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের আবদুল মন্নান মেম্বারের ফিশিং বোটে ধরা পড়েছিল দুটি কালো পোয়া মাছ। মাছ দুটির ওজন ছিল ৬৪ কেজি ৭০০ গ্রাম। স্থানীয় কক্সবাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় কিনে নেন মাছ দুটি।