জিয়াউল হক মাইজভান্ডারির ওরশ উপলক্ষে ৮ দিনের কর্মসূচি

বিশ্ব অলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারির (ক.) ৩৭তম পবিত্র ওরশ শরীফ উপলক্ষে প্রশাসনিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওরশ উপলক্ষে ৮ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মাইজভান্ডার দরবার শরীফে এসে প্রশান্তি অনুভব করি। গণঅভুত্থানের পর অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে। কেউ এখানে এসে বিরূপভাবে কিছু করার সাহস নেই। এটা ঐতিহাসিক সত্য। পর্যটনের সূত্রপাত হয় মাইজভান্ডার থেকে। দরবারের আওলাদরা প্রচারবিমুখ। এখানে যারাই আসেন তারা বিস্মিত হয়ে যান। চট্টগ্রামের মাইজভান্ডার দরবার শরীফ আধ্যাত্ম শরাফতের প্রাণকেন্দ্র।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন ও শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারি।

সভা শেষে দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউসিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারি।

এর আগে ওর< উপলক্ষে ৮ দিনের কর্মসূচির ঘোষণা করেন ইউএনও মোজাম্মেল হক চৌধুরী। কর্মসূচিগুলো হলো—আগামী ৪ অক্টোবর মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় পর্ষদের শাখা কমিটির ব্যবস্থপনায় স্ব স্ব এলাকায় মসজিদে বাদ জুমা কোরআন তেলাওয়াত ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন। ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও ‘ভিউ উদয়ন’ ভবনে অনুষ্ঠিত হবে ‘পবিত্র কোরআন ও হাদীসের বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক সেমিনার। ৬ অক্টোবর ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রাধীন স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি (ক.) জীবনী নিয়ে আলোচনা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। ৭ অক্টোবর বাদ এশা গাউসুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) মাইজভান্ডারি খলিফাগণের আওলাদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হবে।

৮ অক্টোবর শাহানশাহ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারি ট্রাস্টের অধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হবে। ৯ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নৈতিকতা বিষয়ক আলোচনা। ১০ অক্টোবর ফটিকছড়ি উপজেলায় রেজিস্টার্ড এতিমখানায় একবেলা খাবার সরবরাহ। ১১ অক্টোবর উপদেশমূলক প্রচার-প্রচারণা, বিশুদ্ধ পানি ও অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা এবং ১২ অক্টোবর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

সভায় যানজট নিরসনে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে কমিটি গঠন, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, গাউসিয়া হক মনজিলের ব্যবস্থাপনায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবক থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজাউল আলী জসিম চৌধুরী এবং সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ, ফটিকছড়ি ও ভুজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশ, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আরও উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ ও নাজিরহাট পৌরসভার প্রশাসক, মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্য সৈয়দ ফরিদ উদ্দীন; শেখ মুজিবর রহমান বাবুল, মো. শাহেদ আলী চৌধুরী, মো. শামসুল আলম, লোকমান হোসেন ফকির, শেখ মোকসেদুর রহমান, কাজী মো. হারেছ, মোর্শেদল আমীন, মো. শফিউল আলম, জসিম উদ্দিন জিকো, এইচ এম আলী আবরাহা, মনজুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিয়া মেম্বার, মো, রেজোয়ান নূর সিদ্দিকী, জয়নাল আবেদীন জুলু, খসরুল আমীন চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, সৈয়দ এস মহিবউল্লাহ, আজগর আলী, ইউছুপ আলী, জাকের হোসেন, হুমায়ন কবীর, আশরাফ সিদ্দিকী ও আশরাফ হোসেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় পর্ষদের সদস্য নাসির উদ্দিন।

আগামী ১১ অক্টোবর (২৬ আশ্বিন) সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারির (ক.) ৩৭তম পবিত্র ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হবে।

ksrm