১৬ বছর ধরে পাহাড় কাটার কারণে কালীরছড়া খালের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এখানে পাহাড় যারা কেটেছে তারা দীর্ঘদিন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পোষ্য ছিল। একেকজন কাউন্সিলর ছিল ভূমিদস্যু, একেকজন ডাকাতের সরদার ছিল। এই যে জসিম সে একজন ভূমিদস্যু। পাহাড় কাটার জন্য সে বিখ্যাত ছিল কিন্তু তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার আইনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি—খাল পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে কালিরছড়াসহ সব খাল উদ্ধারের পাশাপাশি পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) নগরীর আকবরশাহ এলাকার লেকসিটি আবাসিক এলাকায় কালিরছড়া খালটি পরিদর্শন করেন মেয়র।
মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা এখানে কালিরছড়া খাল দেখতে এসেছি। এক সময় চট্টগ্রামে প্রায় ৫৭টি খাল ছিল। কিন্তু আজ এই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৩৬টিতে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিডিএর উদ্যোগে যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেখানে ৫৭টি খাল থেকে কাজের জন্য ৩৬টি খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনও ২১টি খাল অবহেলিত রয়ে গেছে। আমরা এই ২১টি খাল উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।
পাহাড়কাটার পেছনে অনির্বাচিত শক্তি কাজ করেছে দাবি করে মেয়র বলেন, রাষ্ট্র এ সমস্যার জন্য দায়ী। ভোটের অধিকার হরণ করে অপরাধীদের কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই অপরাধীদের মাধ্যমে দখল, লুটপাট ও দুর্নীতির শিকার হয়েছে শহরটি। গত ১৬ বছর ধরে চলা এই অব্যবস্থাপনার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বাড়ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না, যদি আমরা তাদের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ রেখে যেতে ব্যর্থ হই।
ডা. শাহাদাত বলেন, আমাদের লক্ষ্য খালগুলো পুনরুদ্ধার করা। ইতোমধ্যে আমরা কালিরছড়া খালের কিছু অংশ দখলমুক্ত করেছি এবং আরও উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে। চট্টগ্রামের ২১টি খাল, যেমন পতেঙ্গার গুপ্ত খাল, বাকলিয়ার বীর্জা খাল, এবং কৃষি খাল পুনরুদ্ধারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই খালগুলো চিহ্নিত করে খনন কর্মসূচি শুরু করতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে এটি একটি স্থায়ী সমাধান হয়ে উঠবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, মাহমুদ শাফকাত আমিন, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফ।
আইএমই/ডিজে