চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাপ্পি হত্যা মামলায় দুই জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই আদেশে আদলত তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্তথদন্ড, অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার আসামি বাপ্পির স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৭) ও হুমায়ুন রশিদ (২৮) নামে একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে আসামি আল আমিন (২৮), আকবর হোসেন ওরফে রুবেল ওরফে সাদ্দাম (২৩) এবং মো. পারভেজ ওরফে আলীকে (২৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার আসামি জাকির হোসেন ওরফে মোল্লা জাকিরকে (৩৫) খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন এ রায় দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রশীদ এবং চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সেশন জজকোর্টের এপিপি এডভোকেট দুলাল চন্দ্র দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে,২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর নগরের চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডে বড় মিয়া মসজিদের সামনে একটি ভবনের নিচতলার বাসা থেকে ৩৩ বছর বয়সী তরুণ আইনজীবী বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার হাত-পা ও মুখ টেপ দিয়ে মোড়ানো এবং স্পর্শকাতর অঙ্গ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘটনার পর বাপ্পীর বাবা আলী আহমেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, এডভোকেট বাপ্পী চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে বিভিন্ন মামলা পরিচালনার সময় রাশেদা বেগমের সাথে পরিচয় ঘটে এবং তাকে বিয়ে করে। পরে দাম্পত্য কলহ দেখা দিলে পরস্পরের বিরুদ্ধে সিএমপি’র পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাপ্পীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রাশেদা।
রাশেদাকে দেনমোহর বাবদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল।
২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর চার্জ গঠন করা হয়।২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এ মামলার ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এমএফও