কক্সবাজারের রামুতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সদর হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে রোববার (২৪ আগস্ট) মারা যান ঢাকার যাত্রাবাড়ির বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইয়াছিন আহমেদ (৩৩) ও তাঁর তিন বছর বয়সী ছেলে ইয়াজান। সোমবার মারা যাওয়া দুইজন হলেন ইয়াসিনের মা সালমা আহমেদ (৬০) ও বোন চিকিৎসক সুমাইয়া আহমেদও (৩০)। এনিয়ে একদিনের ব্যবধানে বাবা-ছেলেসহ এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনও হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন ইয়াছিনের স্ত্রী ব্যারিস্টার লায়লা আহমেদ (৩০) ও গাড়িচালক জসিম উদ্দীন (৩৪)।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের জোয়ারিয়ানালার স্বপ্ন তরী পর্যটনকেন্দ্রের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বপ্ন তরী পর্যটন এলাকায় সড়কের একটি বাঁক রয়েছে। বাঁক অতিক্রমের সময় দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াছিন ও তার সন্তান ইয়াজানকে মৃত ঘোষণা করেন। অবস্থার অবনতি হলে আহত সালমা আহমেদ, চিকিৎসক সুমাইয়া ও ব্যারিস্টার লায়লাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সোমবার সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালমা আহমদ এবং দুপুরে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আনার পথে মারা যান সুমাইয়া।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৈয়বুর রহমান জানান বলেন, পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে ইয়াছিন আহমেদ প্রাইভেটকারে করে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে যাচ্ছিলেন। পথে রামুর রশিদনগর এলাকায় পৌঁছালে মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় প্রাইভেটকারের। এতে ঘটনাস্থলেই ইয়াছিন ও তার ছেলে ইয়াজান নিহত হন। সোমবার মারা যান ইয়াসিনের মা সালমা আহমেদ ও বোন ডা. সুমাইয়া আহমেদ।
ওসি জানান, মরদেহগুলো সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গাড়ি দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ডিজে