সাতকানিয়ায় ৪ রোহিঙ্গার জন্মসনদ তৈরি, তদন্তে জালিয়াতির প্রমাণ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় রোহিঙ্গা পরিবারের চার সদস্যের নামে সরকারি জন্মসনদ ইস্যু হওয়ার ঘটনায় উঠেছে এসেছে জালিয়াতির তথ্য। ইউনিয়ন পরিষদের তদন্তে জানা গেছে, ভুয়া অভিভাবকের নাম, ঠিকানা ও জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব সনদ সংগ্রহ করা হয়েছে।

সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদনটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিস হয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে চারটি ভুয়া সনদ তাৎক্ষণিক বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্তে জানা গেছে, কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রোহিঙ্গা হোসেন আহমদ, লায়লা বেগম, মোহাম্মদ সোলতান আহমদ ও মোহাম্মদ রফিক—বাংলাদেশি নাগরিক সেজে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মসনদ নেন। সরেজমিন যাচাইয়ে নিশ্চিত হয়, তারা স্থায়ী নাগরিক নন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গা।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ রয়েছে—সাবেক চেয়ারম্যান মনির আহমদ ও তৎকালীন সচিব অসিমের স্বাক্ষরে এসব সনদ ইস্যু করা হয়েছে। তবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই কাগজপত্র ইস্যু হওয়ার বিষয়ে কেউই গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মহসিন জানান, অভিযোগ ওঠার পর ইউএনওর নির্দেশে তদন্ত চালানো হয় এবং রোহিঙ্গাদের হাতে জন্মসনদ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে পুরো প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, ভুয়া জন্মনিবন্ধনগুলো বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই তা কার্যকর হবে। যারা এতে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাতকানিয়ার অন্য কোথাও রোহিঙ্গাদের হাতে জন্মসনদ পাওয়া গেলে, একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএইচ/ডিজে

ksrm