চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল নিয়ে বহুল আলোচিত চুক্তি কার্যক্রমে হঠাৎ নাটকীয় মোড় এসেছে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের করা চুক্তির বৈধতা নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। এতে বহু বছর ধরে চলা টার্মিনাল পরিচালনার নতুন উদ্যোগ অস্থায়ীভাবে থমকে গেল।
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন চলতি বছর রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করে। পরে এনসিটি পরিচালনা বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের চুক্তি প্রক্রিয়ায় স্থিতাবস্থা চেয়ে রিট আবেদনকারী পক্ষ সম্পূরক আবেদন দাখিল করে।
এই আবেদনের শুনানিতে গত ১৩ নভেম্বর আদালত রুল শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ঠিক করেন। গতকাল ১৯ নভেম্বর রুলের ওপর শুনানি শুরু হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার চূড়ান্তভাবে চুক্তি সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ আসে।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ২০০৭ সালে নির্মিত হয়। নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। আমদানি-রপ্তানির অধিকাংশ কনটেইনার এই টার্মিনাল দিয়েই পরিবহন হয়, যা দেশের বাণিজ্য প্রবাহে এর গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।



