চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত কনটেন্ট ও সরাসরি রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার কারণে আলোচিত ‘ভাইরাল দিদার’ অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) বিকালে নগরীর চকবাজার মেডিকেল এলাকা থেকে কর্ণফুলী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ।
গ্রেপ্তার দিদার হোসাইন চৌধুরী ওরফে ভাইরাল দিদার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং আবুল কালামের ছেলে। এলাকায় তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও তার আনুষ্ঠানিক পদ-পদবি কখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
স্থানীয় সূত্র ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে দিদার তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে আওয়ামী লীগের নেতাদের ও সমন্বয়কদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ধারাবাহিকভাবে নানা সমালোচনা শুরু করেন।
ভিডিও লাইভে কর্ণফুলী আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর অতীত ইতিহাস, বিতর্কিত ঘটনা ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এনে তিনি তৈরি করেন চাঞ্চল্য। এসব কনটেন্টের কমেন্ট বক্সে অনেক সময় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও তীব্র ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, দিদারের এই অনলাইন কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রভাবশালী মহল তার বিরুদ্ধে তৎপর ছিলেন। গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টা আগেও নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছিলেন—‘আল্লাহ ভরসা। বিনাদোষে, বিনা অপরাধে, যারা আজ আমাকে আমার পরিবার থেকে পৃথক করিয়েছে, তাদের জন্য মনভরে দোআ করি ভাই।’
ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘চকবাজার মেডিকেল এলাকা থেকে দিদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
জেজে/ডিজে