চট্টগ্রামের রাউজানে ১৫০ বছরেরও পুরনো পুকুর ভরাট করার দায়ে এক জনপ্রতিনিধিসহ পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার করা একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে তারা আদালতে গিয়েছিলেন।
রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় শুনানি শেষে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদুল হক এই আদেশ দেন।
পাঁচ আসামি হলেন—উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুহাম্মদ খোরশেদুল ইসলাম (৫০), একই ইউনিয়নের পূর্ব কচুখাইন গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম (৪৮), আলী আকবর (৬০), মকবুল আহমদ (৫৫) ও মুহাম্মদ খোরশেদ (৫২)।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দাবি করেন, সামাজিকভাবে কবরস্থান বানানোর জন্য মালিকদের সম্মতি নিয়ে পুকুরটি ভরাট করেছেন তারা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন জানান, পুকুর ভরাটের ওই মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে যান অভিযুক্তরা। কিন্তু আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ মে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম বাদি হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা করেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কচুখাইন মুহম্মদীয়া দরবার শরিফ সংলগ্ন ১৫০ বছরেরও আগে খনন করা পুকুরটি ২০২১ সালে ভরাটের কাজ শুরু করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিলে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের শুরুতে আবারও কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজার বসিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে পুকুর ভরাটের কাজ শুরু করেন তারা। ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দেন। পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এরপরও তৎকালীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি ভরাট করে ফেলা হয়।
ডিজে