কালুরঘাট সেতুর বৈদ্যুতিক তার চুরি, অন্ধকারে এক মাস

চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতু প্রায় মাসখানেক ধরে অন্ধকারে রয়েছে। আগস্ট মাসের শুরুর দিকে এখানকার ১৮০০ মিটার বৈদ্যুতিক তার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল। ফলে জ্বলছে না সেতুর ওপর থাকা একটি বাতিও। অন্ধকারের কারণে সেতুতে চলাচলকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ৪৩ কোটি টাকা ব্যয় করে পুরোনো এ সেতু সংস্কার করে দিয়ে গাড়ি ও পথচারী পারাপারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সেতুটিতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। নেই কোনো তদারকি, শেষ নেই দুর্ঘটনারও। এ সেতু দিয়ে রাতে চলাচল করতে মানুষ ভয় পায়। গত ছয় মাসে এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে ৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। পাশাপাশি একাধিক ট্রেন-গাড়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বোয়ালখালীর এক ব্যবসায়ী বলেন, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে আমি সেতু পার হতে ভয় পাচ্ছি। পুরোপুরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আছে, একটি সড়কবাতিও জ্বলছে না। আমরা প্রায় ব্যবসায়িকরা কাজ শেষ করে এ সেতু গভীর রাতেও পার হয়েছি। এমন ভুতুড়ে পরিবেশ আগে কখনও দেখিনি। এখন সন্ধ্যার পর থেকে সেতু পার হতে ভয় করে।

জানআলী হাট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার নেজাম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা অনেকেই আমাদের মৌলিকভাবে জানিয়েছেন। লাইটগুলো সচল করতে গত ৩১ আগস্ট রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি।

চট্টগ্রাম রেলওয়ের বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, সংস্কারকালে সড়কবাতি রক্ষণাবেক্ষণসহ নিরাপত্তার দায়িত্ব ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের। দ্রুত সড়কবাতি চালুর জন্য ম্যাক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুনভাবে সংস্কারের পর পথচারীদের সুবিধার্থে ৩১টি স্ট্রিটলাইট স্থাপন করা হয়েছে কালুরঘাট সেতুতে। ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৮০০ ফুট বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরি হয়েছে।

সেতুর সড়কবাতিগুলো সচলের জন্য কাজ করছে বলে জানান ম্যাক্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান। তিনি জানান, আমরা বাতিগুলো সচলের জন্য কাজ করছি। এ পর্যন্ত দুইবার ক্যাবল চুরি হয়েছে। আমরা রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি, তবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি।

এএইচ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm