দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ তৌহিদুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন একদল স্থানীয় নাগরিক। আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র থাকাকালে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ আগ্রহে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা তাকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ের নিচে ‘সচেতন চট্টগ্রামবাসী’ ব্যানারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
অংশগ্রহণকারীদের হাতে দেখা যায় ‘গো তৌহিদ গো’, ‘দুর্নীতিবাজ সিইও অপসারণ চাই’সহ নানা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শেখ তৌহিদুল ইসলাম কমিশন বাণিজ্যের মূল হোতা, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ এবং পতিত সরকারের দোসর। তারা বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ঘুষ না দিলে কোনো ফাইল নাড়ে না, প্রকল্পে কাজ পায় না নিরপেক্ষ ঠিকাদাররা।
একজন আন্দোলনকারী বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও তার দোসর শেখ তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রামে কমিশন বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে ঠিকাদারি সিন্ডিকেট।’
বিক্ষোভ চলাকালে কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এসে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের দাবি লিখিত দিন, মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে অনুগ্রহ করে শান্ত থাকুন।’
আন্দোলনকারীরা জানান, বর্তমান মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বিদেশে রয়েছেন। তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, তিনি দুই দিনের সময় চেয়েছেন। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে আন্দোলন আরও কঠোর হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সিইও শেখ তৌহিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এর আগেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দুদক থেকে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের।
তাদের মতে, ‘চসিকে কমিশন না দিলে কোনো কাজ হয় না। অথচ এই বাস্তবতা সবার জানা সত্ত্বেও সিইও এখনো বহাল আছেন।’
এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে শেখ তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।