চট্টগ্রাম রেলে পে-অর্ডার নিয়ে অনিয়ম, অডিটরের বদলির আদেশ ৩ দিন পর স্থগিত

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ৩২টি পে-অর্ডারের টাকা ঠিকাদারকে পাইয়ে দেওয়ার ঘটনায় এক কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। বদলির চারদিনের মাথায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ ছিল।

অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা (পূর্ব) সিআরবির অডিটর মো. আবদুল আউয়াল।

গত ২৬ জুন তাকে অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা (পূর্ব) কর্মকর্তা মো. সোহাগ মীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে ডিএফএ (পদ্ধতি) শাখায় বদলি করা হয়। এতে বলা হয় তিনি ২৯ জুনের মধ্যে বদলি করা দপ্তরে যোগদান না করলে বরখাস্ত করা হবে। কিন্তু বরখাস্তের পরিবর্তে গত ৩০ জুন তার বদলি আদেশ স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ উঠেছে আওয়ালের বিরুদ্ধে একাধিকবার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও এক শ্রমিক দল নেতার অনুসারী হওয়ায় এই বদলি স্থগিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ১৫ অক্টোবর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও স্বাক্ষর ছাড়াই অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা (পূর্ব) সিআরবি’র অডিটর মো. আবদুল আউয়াল ৩২টি পে-অর্ডারের বিপরীতে মোট ৫ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ টাকা তুলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করেন। নিয়ম অনুযায়ী কোনো ঠিকাদার কাজের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুকূলে যে পে-অর্ডারের জমা করেন, তা এক বছরের আগে তোলার নিয়ম নেই। তবে আউয়াল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে টাকা তুলে দিয়ে দেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা (পূর্ব) এর কার্যালয় থেকে ৬ মার্চ তাকে ‘এ’ ফরম দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, তদন্ত কমিটির পর্যালোচনায় রেলওয়ে কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) বিধিমালা ১৯৬১ এর ২(৩) ধারা মোতাবেক আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হল।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তা (সিআরবি) সৈয়দ মুজতবা মাহবুব বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে।

তবে তদন্ত প্রতিবেদনের আগে কেন তাকে বদলি এবং চারদিনের মাথায় সেই আদেশ কেনইবা স্থগিত করা হয়েছে— এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি সৈয়দ মুজতবা মাহবুব।

সিএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm