চট্টগ্রামের ছাত্রদল নেতা সৌরভপ্রিয়কে ধরতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা!

সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে বিতর্কিত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভপ্রিয় পালের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ষষ্ঠ আদালতের বিচারক এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলায় (জিআর মামলা নম্বর ২৮(১১)২৩) আইনজীবীর মাধ্যমে বার বার সময়ের আবেদন করে যাচ্ছিলেন সৌরভপ্রিয় পাল। বুধবারও ধার্য্য তারিখে সৌরভপ্রিয় পালের আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে আদালত আবেদনটি নামঞ্জুর করেন। এরপর সৌরভপ্রিয়র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এই মামলায় তার আইনজীবী রেজাউল ইসলাম, যার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও চট্টগ্রামের ২৬ জন সাংবাদিককে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ রয়েছে।

সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা সৌরভপ্রিয় পালের অনুসারীরা গত ১ মে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিকদের ওপর পূর্ব পরিকল্পিত হামলায় অংশ নেন। এ বিষয়ে তারা ইতিমধ্যে বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান।

সেই রেজাউলই সৌরভের আইনজীবী

সৌরভপ্রিয় পালের বিভিন্ন মামলার আইনজীবী বিএনপির চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ‘আইনি কমিটির সদস্য’ পরিচয়দানকারী রেজাউল ইসলাম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।

সাংবাদিক নেতারা অভিযোগ করেন, সাবেক পুলিশ কনস্টেবল আইনজীবী রেজাউল ৩০ এপ্রিল ফেসবুকে একটি পোস্টে ‘কর্মরত সাংবাদিক’ ব্যানারে ১ মে আয়োজন করা একটি পিকনিক অনুষ্ঠান পণ্ড করার হুমকি দেন। ওই পোস্টের ভিডিও স্ক্রিনরেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে— এমন কথা উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, রেজাউল ও তার সহযোগীরা সাংবাদিক প্রদীপ শীল ও খোরশেদুল আলম শামীমকে প্রচণ্ড মারধর করেন। পথচারীরা বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসে এবং তাদের সহায়তায় রেজাউল ও তার একজন সহযোগীকে আটক করা হয়। এ সময় জনতা রেজাউলকে চড়-থাপ্পড় মারে। পরে পুলিশ এসে রেজাউল ও তার সহযোগীকে খুলশী থানায় নিয়ে যায়।

পরে রেজাউল ইসলাম চট্টগ্রামের সিনিয়র ২৬ জন সাংবাদিককে আসামি করে গত ১৩ মে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, তথ্য বিকৃতি করে তার মামলার অভিযোগপত্র লেখা হয়েছে। রেজাউলের অভিযোগ, ২৬ সাংবাদিকসহ অভিযুক্তরা তাকে অপহরণ ও ছিনতাই করেছিল। তিনি আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত সাংবাদিকরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, এতে তার চোখে আঘাত লাগে। পরে তারা তাকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে।

অথচ কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম বলেছেন, ওইদিন কোতোয়ালী থানার আওতাভুক্ত কোনো স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm