পটিয়ায় ‘কাসেম বাহিনী’র প্রধান অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের পটিয়ার বিতর্কিত সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বাহিনীর প্রধান আবদুল হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ১টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩টি কার্তুজ, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৩টি রাম-দা ও ১টি ধারালো টিপ ছোড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে ৩টার দিকে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা মাজিপাড়া এলাকার একটি টিনশেড ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আবদুল হামিদ জিরি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁইদাইর গ্রামের এখলাস মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুল হামিদ কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক বিতর্কিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের পক্ষে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন এলাকায়। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবুল কাশেম গা-ঢাকা দেন।

বুধপুরা বাজার এলাকায় আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে গত ১৮ মে রাতে প্রকাশ্যে একটি দোকান থেকে স্থানীয় গাজী আজগর আলী নামের এক যুবককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় ‘সন্ত্রাসী’ হামিদ ও তার দল। রাতে সাইঁদাইর এলাকায় একটা নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায় আজগরকে।

পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করান। আবদুল হামিদকে প্রধান আসামি করে আহত যুবকের স্ত্রী বাদি হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

পটিয়া থানা পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কাশিয়াইশ এলাকায় অপহরণ, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলেন ‘সন্ত্রাসী’ হামিদ। এলাকায় রয়েছে তার বাহিনীও। তার বিরুদ্ধে পটিয়াসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, কাশিয়াইশ এলাকার সন্ত্রাসী, বহু মামলার আসামি আবদুল হামিদকে ধরতে আমরা বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেছি। কিন্তু তিনি পুলিশের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই এলাকা থেকে সটকে পড়তেন। মঙ্গলবার রাতে তাকে আমারা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm