চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তারা ট্রেনে টিকিট ছাড়া যাত্রী পরিবহনসহ বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির সত্যতা পেয়েছে। এসব ঘটনায় রেলের বুকিং সহযোগী, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্য এবং ট্রেন অ্যাটেনডেন্টদের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম।
অভিযানে ঢাকাগামী ‘মহানগর এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কয়েকটি বগি পরিদর্শন করেন দুদক কর্মকর্তারা। সেখানে টিকিট ছাড়া যাত্রী পরিবহন ও বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির সত্যতা পান তারা। এছাড়া রেলের বুকিং সহকারী, আরএনবির এক সদস্যসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পেয়েছে দুদক।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, ট্রেনের অ্যাটেনডেন্টরাও টিকিট ছাড়া যাত্রী পরিবহন ও বাড়তি দামে টিকিট বিক্রি করেন থাকেন। একটি ট্রেনে প্রায় ২০ জন অ্যাটেনডেন্ট যাত্রী সেবায় নিয়োজিত থাকেন। তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে। রেল থেকে অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দায়িত্ব পান শহিদুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদার। তিনি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এসব অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকেন।
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম জানান, ‘রেলস্টেশনে দায়িত্বরত আরএনবির সদস্যরা বুকিং সহকারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে টিকিট কালোবাজারি করেন—এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। রেলের তিন কর্মী ১৯০ টাকার টিকিট বিক্রি করছিলেন ৩০০ টাকা করে। অথচ এসব টিকিট তাদের হাতে থাকার কথা নয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
অভিযানে পাওয়া নানা অনিয়মের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন মাস্টার আবু জাফর বলেন, দুদক টিম বিনা টিকিটে যাত্রী পরিবহন ও অনলাইনে টিকিট না পাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে।
জেএস/ডিজে