চট্টগ্রামে ইয়ুথ ভয়েসের কাউন্সিলে অংশ নিলো ৩০০ শিক্ষার্থী

চট্টগ্রামে ‘ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশ’র জেনারেল কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৪২টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত ১৪৫ জন প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর অংশ নেয়।

২ আগস্ট (শনিবার) বিকালে চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির সেন্ট্রাল অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম সিটি ওয়ার্কিং কমিটির এই জেনারেল কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

কাউন্সিলে বক্তারা বলেন, দেশের তরুণদের শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, তাদের আত্মোন্নয়ন, নেতৃত্বের গুণাবলী, সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক মূল্যবোধ অর্জনে সক্রিয় হতে হবে। শিক্ষা শুধু সনদ নয়, এটি নৈতিকতা, আদর্শ ও দেশপ্রেমের সাথে যুক্ত। সেই শিক্ষা ও মূল্যবোধ নিয়েই যুব সমাজকে জাতি ও দেশের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে যে কোনো অসাধ্য সাধন করা সম্ভব, তরুণরা বাধা ডিঙাতে পারেন, তরুণরা জয় করতে জানেন। বাংলাদেশের তরুণরা দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এবং সর্বশেষ ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাদের অধিকার ক্ষুণ্ন হলে, তাদের অবহেলা করা হলে, তাদের দমনের চেষ্টা করা হলে, তারা রুখে দাঁড়াতে জানেন। তারা পাথরকে ভেঙে চুরমার করতে পারেন।

ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ এ সোবহানী। বিশেষ বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আইন কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ শাহনেওয়াজ মুনির এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আরও বক্তব্য রাখেন ইয়ুথ ভয়েস চট্টগ্রাম সিটি কমিটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. মুনিরা তারেক খোন্দকার, সাধারণ সম্পাদক আরেফিন বিল্লাহ, বর্তমান কমিটির কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, প্রথম কমিটির সভাপতি চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ফরিদ এ সোবহানী বলেন, সফলতা অনেক কঠিন জিনিস। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা কঠিন। যারা আগামী দিনে তরুণদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না তাদের বাংলাদেশে কোনো ঠাঁই থাকবে না।

সভাপতির বক্তব্যে ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার বলেন, যুবসমাজকে শুধু পড়াশোনার গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ না থেকে আত্ম-উন্নয়নের ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলী চর্চা ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কেবল পুঁথিগত বিদ্যা নয় — এর সঙ্গে নৈতিকতা, আদর্শ ও দেশপ্রেম গড়ে তোলা জরুরি। তরুণদের উচিত শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি নৈতিক মূল্যবোধ ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে দেশ ও সমাজের কল্যাণে কাজ করা।

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ তরুণ রয়েছে। তাদের অনেকেই বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করছে। কারণ তারা মনে করে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। আমাদের দায়িত্ব হলো এই মনোভাব পরিবর্তন করা। তরুণদের মধ্যে দেশপ্রেম ও সততা জাগিয়ে তুলতে হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm