চট্টগ্রামে জোড়া খুনের আরেক অস্ত্রধারী গ্রেপ্তার, কর্ণফুলীতে পোশাক ও ফটিকছড়ি থেকে বাইক উদ্ধার

চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস রোডে ঘটে যাওয়া আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া মো. সজীব নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সজীবের স্বীকারোক্তির পর কর্ণফুলীর ইছানগরে ভাড়া বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পোশাক এবং ফটিকছড়ির কাঞ্চননগরের রাজা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে একটি লাল-কালো রঙের ১৫০ সিসির পালসার মোটরসাইকেল (চট্টমেট্রো-ল-১৩-৭৯১১) উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

সোমবার (৭ এপ্রিল) ভোরে নগরীর সদরঘাট এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে সজীব গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখার উদ্দিন।

গ্রেপ্তার সজিব (২৯) ফটিকছড়ি থানার ৭ নম্বর কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তকবুল আলীর বাড়ির মো. সেলিম উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ মার্চ রাত আনুমানিক ২টার দিকে বাকলিয়ার রাজাখালী ব্রিজ এলাকায় চট্টমেট্রো-গ-১২-৯০৬৮ নম্বরের একটি প্রাইভেটকারে থাকা সরোয়ার হোসেন বাবলা, আব্দুল্লাহ আল রিফাত, মো. বখতিয়ার হোসেনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। ছয় থেকে সাতটি মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা গাড়িটিকে ধাওয়া করে এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোড সংলগ্ন ঢাকাইয়া খানা রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

এতে বখতিয়ার হোসেন (২৮) এবং আব্দুল্লাহ আল রিফাত (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাদের দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় আহত অপর দুইজন—রবিউল হোসেন হৃদয় ও রবিন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়। টানা অভিযানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে কিলিং মিশনে সরাসরি জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া সজিব আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান ওসি ইফতেখার উদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোনো মূল্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm