চট্টেশ্বরী ও ফিরিঙ্গীবাজারে সড়ক প্রশস্ত করবে সিডিএ, বায়েজিদে ‘নর্থ সাউথ-১’

৪৫৫০ কোটির ৩ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায়

চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এর মধ্যে দুটি সড়ক সম্প্রসারণ এবং একটি নতুন সড়ক নির্মাণের। প্রকল্পগুলো এখনও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর গোলপাহাড় থেকে চট্টেশ্বরী মোড়—দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটারের একটু বেশি। অথচ এই অল্পপথ পাড়ি দিতেই অনেক সময় ৩০ মিনিট বা তারও বেশি সময় লেগে যায়। এতে সড়কের দুই পাশে থাকা হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসগামী মানুষ প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি।

সিডিএ সূত্র জানায়, তিন প্রকল্পের মধ্যে নর্থ সাউথ-১ নামে একটি নতুন সড়ক নির্মাণ করা হবে। এই সড়কটি বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোডের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি এলাকা থেকে শুরু হয়ে বিএডিসি রোড হয়ে জাকির হোসেন সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এরপর পাহাড়তলী কলেজ হয়ে এটি আমবাগান সড়কের সঙ্গে মিলিত হবে। প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৮০ ফিট প্রশস্ত এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু ভূমি অধিগ্রহণেই খরচ হবে ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা।

নগরীর গোলপাহাড় মোড় থেকে চট্টেশ্বরী মোড় পর্যন্ত মেহেদীবাগ সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে। বর্তমানে সড়কটির প্রস্থ কোথাও ২৫ ফিট, কোথাও ৪০ ফিট। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এটি ৬০ ফিট প্রশস্ত হবে। এক দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়ক সম্প্রসারণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬৭ কোটি টাকা উন্নয়ন কাজে এবং ২২৮ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে। এই প্রকল্পে কিছু বহুতল ভবন ভাঙার প্রয়োজন পড়বে।

এছাড়া নগরীর ফিরিঙ্গীবাজার মোড় থেকে সদরঘাট রাজ হোটেল পর্যন্ত কবি নজরুল ইসলাম সড়ক সম্প্রসারণ করা হবে। এই সড়ক সম্প্রসারণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০৩ কোটি টাকা ভূমি অধিগ্রহণে এবং বাকি অর্থ সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যয় হবে।

এ বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম জানান, সিডিএ’র তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রকল্প অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে এবং একটি প্রকল্প আগেই পাঠানো হয়েছিল। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, এই তিনটি সড়ক এলাকায় প্রতিদিন ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে নগরবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।

এএইচ/ডিজে

ksrm