চান্দগাঁওয়ে শিক্ষককে আটকে মারধরের পর চাঁদা আদায়, চক্রের ৬ সদস্য পুলিশের জালে

কৌশলে প্রথমে নিজেদের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে করা হয় মারধর। এরপর চলে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আদায় করা হয় মুক্তিপণ। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছিল একটি চক্র। চট্টগ্রাম নগরী থেকে এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল রাতে নাজিমুল ইসলাম চৌধুরী নামের এক শিক্ষককে এভাবেই মারধর করে ভিডিও ধারণ এবং পরে চাঁদা আদায় করা হয়। ওই ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে নামে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

s alam president – mobile

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন মোহাম্মদ হাসনাত উদ্দিন ওরফে নয়ন (২৭), মো. শাহিদুল আলম ওরফে রাকিব (২২), মো. শাকিব (২০), তাওহিদুল ইসলাম ওরফে রিফাত (১৯), ইয়াছিন ইকবাল তাওসিফ (২০) ও মো. মারুফ (২২)।

জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল রাতে চান্দগাঁওয়ের শাহ মাজারের পশ্চিম পাশে বাড়াই পাড়া রোডে ওসমান ভবনের নিচতলার একটি রুমে শিক্ষক নাজিমুল ইসলাম চৌধুরীকে আটকে রাখা হয়। চক্রের সদস্যরা তাকে মারধরের পাশাপাশি চাঁদাও আদায় করে। এই ঘটনায় মামলা হয় থানায়। এরপর ধরা পড়ে চক্রের সদস্যরা।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন কৌশলে তাদের আস্তানায় নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের পাশাপাশি উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণের পর চাঁদাবাজি করে এই চক্র। এই ধরনের কাজ তারা আগেও করেছে। চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

Yakub Group

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনায় লোকলজ্জার ভয়ে অধিকাংশ ভুক্তভোগী অভিযোগ বা মামলা করেন না। যার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যায়।’

আরএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!