চায়ের দাওয়াতে থানায় নিয়ে বাতিঘরের কর্ণধারকে কোতোয়ালী পুলিশের হঠাৎ জেরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় চট্টগ্রামভিত্তিক বই বিপণিকেন্দ্র ও প্রকাশনা সংস্থা বাতিঘরের স্বত্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কোতোয়ালী থানার পুলিশ।

শনিবার (২৮ জুন) দুপুর পৌনে ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবের নিচে বাতিঘরে ঢুকে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল আফ্রাদ দীপঙ্কর দাশকে বলেন, কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। এরপর তাকে পুলিশের গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় এক ঘন্টা নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ‘হামলা’র এক ঘটনায় ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বিভাগের শিক্ষার্থী তাফহীমুল ইসলাম। ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭৩৫ জনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মামলাটিতে ৬ জন সাংবাদিক ছাড়াও অজ্ঞাত ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এতে বাতিঘরের স্বত্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশের নাম রয়েছে ২৩৫ নম্বরে।

ওই মামলার এজাহারে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল, কিরিচ, হকিস্টিক, রামদা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া অভিযুক্তরা ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। গুলিবর্ষণের একপর্যায়ে মামলার বাদী তাফহীমুলের ডান হাতের কব্জিতে গুলি লাগে, যা হাতের এক পাশে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

বাতিঘরের স্বত্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুপুরে কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত এসে বললেন, এসি মাহফুজ সাহেব আপনাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। এরপর তিনি আমাকে বলেন, এখনই আপনাকে যেতে হবে। আমি সঙ্গে সঙ্গেই তাদের সঙ্গে রওনা হয়ে কোতোয়ালী থানায় যাই। সেখানে থানার ওসি ও ওসি তদন্ত মিলে আমাকে প্রায় এক ঘন্টা নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

তবে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওসি তদন্ত তাকে ডেকে এনেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আমি ছিলামও না।’

কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাহফুজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি তো কাউকে চায়ের দাওয়াত দিইনি। এটা যে বলেছে তাকে জিজ্ঞেস করেন আমি দাওয়াত দিয়েছি কিনা।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm