সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ও দুবাই চেম্বার্সের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী লুতা দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও জোরদার করার পথ খুঁজেছেন। সাম্প্রতিক এই বৈঠকে আলোচনার মূল কেন্দ্র ছিল ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি, যৌথ উদ্যোগ সৃষ্টি এবং বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য দুবাইকে আরও ব্যবসাবান্ধব গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা।
বাণিজ্য সহযোগিতা ও লিয়াজোঁ অফিস
রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বৈঠকে দুবাই চেম্বার্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ৮ মে ঢাকায় দুবাই চেম্বার্সের একটি লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের উদ্যোগ বাংলাদেশের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। তিনি আরও মনে করিয়ে দেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ৩৫ সদস্যের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল এবং দুবাই চেম্বার্সের ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বি২বি ম্যাচমেকিং ইভেন্ট সফল করতে মোহাম্মদ আলী লুতার সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বাংলাদেশি প্রদর্শকদের ভিসা সহায়তা
আলোচনার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত জানান, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে বাংলাদেশি নিবন্ধিত প্রদর্শকদের প্রায়ই ভিসা জটিলতার মুখে পড়তে হয়। এ পরিস্থিতিতে তিনি দুবাই চেম্বার্সের সহযোগিতা চান। মোহাম্মদ আলী লুতা আশ্বাস দেন যে, এসব ক্ষেত্রে দুবাই চেম্বার্স কার্যকর সহায়তা করবে।
গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে আমন্ত্রণ
রাষ্ট্রদূত আগামী ১–৩ ডিসেম্বর ঢাকায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো’ পরিদর্শনে দুবাই চেম্বার্সের সভাপতি এবং প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই অংশগ্রহণ ব্যবসা সম্প্রসারণের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
দ্বিপাক্ষিক সম্ভাবনা
বৈঠকে দুই পক্ষই মনে করেন, পরিবর্তিত বৈশ্বিক ব্যবসায়িক প্রবণতা এবং বিশ্বায়নের নতুন আঞ্চলিক কাঠামোর প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বিটুবি নেটওয়ার্কিং দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।


