বন্দরের নতুন মাশুল এক মাসের জন্য আটকে গেল হাইকোর্টে

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল আদায়ের সিদ্ধান্তে হঠাৎ নাটকীয় মোড় এলো। বন্দরের বাড়তি মাশুল আদায়ের বিষয়ে রোববার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট এক মাসের জন্য কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জারি করা প্রজ্ঞাপন এবং সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।

কী ছিল বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত

এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নতুন মাশুল নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। প্রজ্ঞাপনে বন্দরের বিভিন্ন সেবার জন্য আগের তুলনায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাড়ে কনটেইনার পরিবহনের মাশুল। পরে ৩০ সেপ্টেম্বর একটি সার্কুলার দিয়ে জানানো হয় যে নতুন এই মাশুল ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের পক্ষে গত মাসে এই গেজেট এবং সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

আদালতের আদেশ

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী। আদালত সার্কুলারের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করেন। এতে কার্যত গড়ে ৪১ শতাংশ নতুন মাশুল আপাতত আদায় করা যাবে না।

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী জানান, হাইকোর্টের রুলে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত গেজেট এবং ৩০ সেপ্টেম্বর দেওয়া সার্কুলার কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হতে পারে।

ksrm