প্রবেশপত্র মেলেনি, এসএসসির প্রথম পরীক্ষা দেওয়া হলো না উখিয়ার ১৩ শিক্ষার্থীর
পুলিশ হেফাজতে প্রধান শিক্ষক, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
পরীক্ষার দিনও প্রবেশপত্র না পাওয়ায় কক্সবাজারের উখিয়ায় হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের ১৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীদের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ স্থানীয় লোকজন। এ সময় পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে এই ঘটনা ঘটে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জন মেয়ে ও তিনজন ছেলে। তারা হলেন—নাছির মোহাম্মদ, মাহমুদুল হক, নয়ন মণি, রুনা আক্তার, নাঈমা সোলতানা, শারমিনা কামাল, রেনজিনা আক্তার, হাফসা আক্তার, নাছিমা আক্তার সানজিদা আক্তার সুফাইরা আক্তার, রিহাদুল ইসলাম ও সুইটি আক্তার৷
ইউএনও বলেন, উখিয়া মরিচ্যা হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ১৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারছে না, এমন অভিযোগ পেয়েছি। পরে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি যে, তারা চট্টগ্রামে বোর্ডেও ফরম পূরণ করেনি। মূলত ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে এসব প্রতিষ্ঠানের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার বদরুল আলম জানান, ১৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে না পারার বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। তাদের একজনের ও ফরমফিলাপ হয়নি। আমরা চেষ্টা করতেছি পরীক্ষা দেওয়ার৷
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, তাদের বিদ্যালয় থেকে ১৩ জন শিক্ষার্থীর এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে স্বাক্ষর নেয়নি। ফরম পূরণের জন্য ৬ হাজার টাকা করে দিয়েছিল। তারা জানেন না, তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে কিনা। শিক্ষকরা গত পরশু থেকে প্রবেশপত্র দেওয়ার বিভিন্ন সময় নিলেও দিতে পারেননি।
তারা আরও বলেন, পরীক্ষার দিন সকালে দেওয়ার কথা ছিল প্রবেশপত্র। পরীক্ষার্থীরা সকল প্রস্তুতি নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে তাদের নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশপত্রের জন্য গেলে প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুস এখনও প্রবেশপত্র দিতে পারেননি।
এদিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভে বিদ্যালয়ে হামলার চেষ্টা হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইউনুসকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
ডিজে