মধ্যরাতে বাল্কহেড থেকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে মাঝি নিখোঁজ

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে চলাচল করা বালুবাহী মাসুমা বাল্কহেড নামের একটি নৌযান থেকে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন মো. জাবেদ আহমেদ নামে এক সাম্পান মাঝি।

বুধবার (১০ এপ্রিল) মধ্যরাতে কর্ণফুলী নদীর নতুন ব্রিজের নিচে ঘটনাটি ঘটেছে।

বাল্কহেড মালিক পক্ষ দাবি করছে, জাবেদ স্বেচ্ছায় নদীতে লাফ দিয়েছেন। তবে পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাটি রহস্যজনক এবং এর পেছনে অন্য কিছু থাকতে পারে।

নিখোঁজ জাবেদ আহমেদ (৪৫) কর্ণফুলীর শিকলবাহা ১ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীপ কালার মোড়ল এলাকার মৃত শরীফ আলীর ছেলে। তার সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে বিজয় কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র, ছোট ছেলে শহীদুল ইসলাম জনি এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং মেয়ে পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে।

নিখোঁজের ছোট ভাই মীর আহমেদ বলেন, ‘আমার ভাইকে খুঁজে পাচ্ছি না। বাল্কহেড মালিকপক্ষ বলছে, সে কাপড় ও মোবাইল রেখে নদীতে লাফ দিয়েছে। কিন্তু আমরা সেটা বিশ্বাস করতে পারছি না। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পরে তার সাম্পানটি উদ্ধার করা হয়েছে বোয়ালখালী থেকে।’

কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এসএম পেয়ার আলী ও কর্ণফুলী নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে বলে জানা যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কর্ণফুলী নদীতে রাতের বেলা বাল্কহেড চলাচল বন্ধ হয়নি। অনেক সময় এসব নৌযানে সিগন্যাল বাতিও থাকে না। আলো নিভিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলা এসব বাল্কহেড প্রায়ই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়—যা প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু নৌ পুলিশ সদস্য এবং বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব নৌযান নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm