চট্টগ্রামের রাউজানে দিনদুপুরে অটোরিকশায় করে এসে বোরকা পরা একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে মুহাম্মদ সেলিম নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। এ নিয়ে উপজেলায় ১৩টি খুনের ঘটনা ঘটেছে, যার বেশিরভাগই রাজনৈতিক আধিপত্যের জেরে ‘টার্গেট কিলিং’।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে কদলপুর ইউনিয়নের ইশানভট্ট হাটবাজারে জনসমক্ষে ঘটে এই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড।
নিহত সেলিম (৪০) কদলপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ড শমসের পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং আমির হোসেনের ছেলে। তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, হাটের এক দোকানের সামনে বসেছিলেন সেলিম। ঠিক তখনই বোরকা পরে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এসে ৫–৬ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। খুব কাছ থেকে ছোঁড়া গুলিতে তার মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
তড়িঘড়ি করে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে মুহাম্মদ রায়হান নামে একজন সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
গত বছরের আগস্টের পর থেকে রাউজান উপজেলায় সংঘটিত হয়েছে একের পর এক রক্তক্ষয়ী সহিংসতা। মোট ১৩টি হত্যাকাণ্ডের মধ্যে ১০টিই রাজনৈতিক বলে মনে করছে পুলিশ। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, এলাকা দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে ঘিরেই মূলত এই সংঘর্ষগুলো ঘটে। এর মধ্যে অন্তত ৩ শতাধিক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রশাসনের নির্লিপ্ততা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেই রাউজান এখন ভয়াবহ অস্থিরতার মুখে।
জেজে/ডিজে