লন্ডনের বৈঠকে তরুণদের জন্য নতুন বার্তা দিলেন তারেক রহমান

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও জাতি গঠনে তরুণদের ভূমিকা সামনে এনে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরার আগ মুহূর্তে গত ১১ ডিসেম্বর লন্ডনে ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকারের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে তারেক রহমান জাতি গঠনের প্রক্রিয়ায় তরুণ সমাজকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের কার্যক্রমকে আরও সংগঠিত, গবেষণাভিত্তিক এবং জনসম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তরুণদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, নেতৃত্বের সক্ষমতা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা গড়ে তুলতে পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণের কথা বলেন। আলোচনায় দেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, যুবসমাজের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গঠনে তরুণ নেতৃত্বের করণীয় বিষয়ও উঠে আসে।

এক যুগের অভিজ্ঞতা

ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তারেক রহমানের ব্যক্তিগত পরামর্শ, নির্দেশনা ও চিন্তাধারার আলোকে ২০১৩ সালে সংগঠনটি গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশব্যাপী ৩০০টির বেশি যুব নেতৃত্ব ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সংগঠনটি। এসব কর্মসূচিতে দেশি ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেন।

রাজনৈতিক বাধার মুখে বারবার

ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের কার্যক্রম পরিচালনার সময় ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকার ও সংগঠনটি তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন রাজনৈতিক বাধার মুখে পড়ে। এরপরও তারেক আকবর খোন্দকারের নেতৃত্ব ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে সংগঠনটি তরুণ সমাজকে সম্পৃক্ত রাখা এবং যুব নেতৃত্ব বিকাশের কার্যক্রম চালিয়ে যায়।

বাধা পেরিয়ে স্বীকৃতি, এবার নতুন পথে

জানা গেছে, ব্যারিস্টার তারেক আকবর খোন্দকারের সঙ্গে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রকাশের পর ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের নিবন্ধন প্রায় ১৩ বছর ধরে আটকে থাকে। ২০১৮ সালে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার চাপের কারণে সংগঠনটির কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়ে। পরে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর সংগঠনটির নিবন্ধনের পথ সুগম হয়।

একই সঙ্গে ইয়ুথ ভয়েস অব বাংলাদেশের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শাখাগুলো বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন ও স্বীকৃতি পায়। এই অনুমোদনের মাধ্যমে সংগঠনটি নতুনভাবে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে এবং দেশের তরুণ সমাজকে আরও কার্যকরভাবে সম্পৃক্ত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।