s alam cement
আক্রান্ত
৫৭৩৭০
সুস্থ
৪৮৩৭৪
মৃত্যু
৬৭৪

সিনহা হত্যা—ওসি প্রদীপসহ ৬ আসামির জামিন আবেদন বাতিল

সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ২৬-২৮ জুলাই

0

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়ার শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপসহ ছয় আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে চার্জ গঠন করেছেন।

রোববার (২৭ জুন) সকালে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল চার্জ গঠন করেন। এদিকে অভিযোগ গঠনের জন্য সকাল ১০টার দিকে ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামীকে কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আদালতে নেয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার (আইও) প্রদত্ত চার্জশীট আদালত আমলে নিয়ে মামলাটি চার্জ গঠন করেছেন এবং মামলাটি বিচার কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রস্তুত করা হয়। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট ফরিদুল আলম মামলাটির চার্জ গঠন শুনানি করেন। ফৌজদারী দন্ডবিধির ৩০২,২০১,১০৯, ৩৪ ধারা সহ আরো কয়েকটি ধারায় মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। পরবর্তী ধার্যদিনে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহন করা হবে। বাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ২৬, ২৭, ২৮ জুলাই ধার্য্য করা হয়েছে।

একইদিন আসামি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী, নন্দদুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১০ জন আসামির জামিনও মঞ্জুর হয়নি। শুনানী শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন সমুহ নাকচ করে দেন। এছাড়া ৭ জন আসামিকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনও শুনানী শেষে নাকচ করে দেন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।

গত ১৩ জুন প্রদীপ কুমার দাশ ও নন্দদুলাল রক্ষিত আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। পলাতক আসামী সাগর দেব গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। এছাড়াও আরো ৬ জন আসামী রোববার আদালতে জামিন আবেদন করেন। এর আগে গত ১০ জুন ওসি প্রদীপকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যার পাঁচদিনের মাথায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয় টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে। আদালত থেকে মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় র‍্যাব-১৫ কে।

এরপর আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ৩ জন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্য এবং প্রদীপের দেহরক্ষীসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। গত ২৪ জুন কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসে।

Din Mohammed Convention Hall

মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪ আসামিদের র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এমএহক

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm