হাটহাজারীতে দরবার দখলে প্রাণহানি, ২৮ বছর পর সাজা পেলেন দুই আসামি

দীর্ঘ ২৮ বছর আগের এক হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। দরবার শরিফের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ ও গুলি চালনার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি শেখ তৈয়বুল্লাহ সিদ্দিকী। রায়ের সময় আদালতে হাজির ছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হারুন-অর-রশীদ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আবু বকর জানান, তৈয়বুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপর আসামি মো. ইকবালকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মইনুল ইসলাম সোহেল জানান, রায় ঘোষণার সময় তৈয়বুল্লাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ইকবাল পলাতক রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মামলার মোট ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছিল। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে ছয়জন আসামি মারা যান। বাকি ছয়জনের মধ্যে দুইজন দণ্ডিত হলেন। মামলার বাদী শাহেনশাহ ভূঁইয়া এখন বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ।

১৯৯৭ সালের ১ মার্চ হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদে ‘আস্তানায়ে পাক দরবারে মুসাবিয়া’ নামের এক দরবার শরিফে বাৎসরিক উরস চলাকালে সংঘর্ষ হয়। অভিযোগে বলা হয়, ওই সময় তৈয়বুল্লাহ ও তার অনুসারীরা দরবারের নিয়ন্ত্রণ নিতে হামলা চালান। তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকার ডেমরা থেকে আসা ভক্ত ইব্রাহিম হোসেন নিহত হন। আরও অন্তত সাতজন গুলিতে আহত হন।

ঘটনার পর উরস কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহেনশাহ ভূঁইয়া হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। ২০০২ সালে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে মঙ্গলবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm