কক্সবাজারের রামুতে ঢাকাগামী ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’র ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের পাঁচ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। রেললাইনে হঠাৎ উঠে পড়া অটোরিকশাটি। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে গেলে প্রায় এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় অটোরিকশাটিকে। পরে ট্রেন থামলে সেটি রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়ে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রামুর ইসলামাবাদ স্থানে লেবেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
নিহতরা হলেন—অটোরিকশার চালক হাবিব উল্লাহ (৫০), ভারুয়ালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাদকপাড়ার রেণু আরা (৪৫) ও তার বোন আসমা আরা (১৩), রেণু আরার তিন বছর ও দেড় বছর বয়সী দুই ছেলে আশেক উল্লাহ ও আতা উল্লাহ নিহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে সিএনজি অটোরিকশাটি হঠাৎ রেললাইনের ওপর উঠে পড়ে। এ সময় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটির ধাক্কায় ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায় অটোরিকশাটি। এভাবে প্রায় এক কিলোমিটার অটোরিকশাটিকে হেচড়ে টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। পরে সেটি রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনায় অটোরিকশায় থাকা সবাই মারা যান।
পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রেনটি থামিয়ে দেয়। ফলে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ‘সৈকত এক্সপ্রেস’ ট্রেনটিও পথে আটকে যায়।পরে রেল কর্তৃপক্ষ নিহতের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসে বিকাল ৪টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ সময় ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কোনো কারণে ট্রেন হার্ড ব্রেক বা তাৎক্ষণিক ব্রেক চাপলেও থামতে পারে ৪০২ মিটার বা ৪৪০ গজ দূরে গিয়ে। ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে যাচ্ছিল। ট্রেনে অনেক সময় সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক চাপা যায় না। পরিস্থিতি ও গতি বিবেচনা করতে হয়। এতে অনেক সময় হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কা থাকে। এই দুর্ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আবু জাফর মজুমদার বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ১৫মিনিট বিলম্বে পৌঁছে, তবে কক্সবাজারমুখি ‘পর্যটক একপ্রেস’ ট্রেনকে থামিয়ে অবরোধ করলেও পরে রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিলে দেরীতে কক্সবাজার পৌঁছে ট্রেনটি।
জেএস/ডিজে