এখনও জ্বলছে ইপিজেডের আগুন, এক কিলোমিটার দূরেও তীব্র তাপ

ভবন ধসে পড়ার শঙ্কা

চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছয় ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ও নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট। এর মধ্যে ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগুনের তাপ প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অনুভব হচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টায় এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। রাত সাড়ে ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর মধ্যে ধীরে ধীরে আগুন অন্যান্য ভবনেও ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ ঘটনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে ইপিজেডের ‘অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ ও ‘জিহং মেডিকেল কোম্পানি’র গুদামে আগুন লাগে। অ্যাডামস তোয়ালে এবং ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিকেল গাউন তৈরি করতো। কারখানার সাত তলায় দুটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে নৌবাহিনীর সদস্য আগুন নেভাতে কাজ করছেন। আগুন ধীরে ধীরে সাত তলা থেকে নিচের ছয় ও পাঁচ তলায় ছড়িয়ে পড়েছে। চারদিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে গেছে। ভবনের কিছু অংশ ধসে ধসে পড়ছে। এছাড়া আগুনের কারণে প্রচণ্ড তাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অনুভব হচ্ছে। আগুন দেখতে উৎসক জনতাও ভিড় জমিয়েছেন।

এদিকে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের উদ্ধার করে নিয়ে যান। এদের মধ্যে অনেকে ধোঁয়ায় কিছু অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সিইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, ওই ভবনে ৭০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তবে তাদের কেউ আহত হননি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তবে বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, যেখানে আগুনের সূত্রপাত, সেখানে নারীদের যাওয়া নিষেধ। অনেক শ্রমিক বসে দুপুরের খাওয়ার খাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই হঠাৎ ‘আগুন, আগুন’ বলে চিৎকার করে ওপর থেকে অনেকে নিচে নেমে যান। কারখানায় জরুরি এলার্ম বেজে ওঠে।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, কারখানার ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকা পড়েনি বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষের লোকজন। তবে ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

ডিজে

ksrm