কক্সবাজার থেকে ট্রেন ছাড়তে দেরি, চট্টগ্রামে পৌঁছে ঢাকার ট্রেন মিস দেড়শ যাত্রীর

কক্সবাজার থেকে প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ঢাকাগামী ট্রেন মিস করেছেন প্রায় দেড়শ’ যাত্রী। এতে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন ম্যানেজারের রুমের সামনে বিক্ষোভ করেছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, রেলওয়ের অব্যস্থাপনার কারণেই এমন দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। তবে রেলওয়ের দাবি, যাত্রীদের জন্য ট্রেনের সিডিউল পেছানোর সুযোগ নেই।

সোমবার (১৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম স্টেশনে এ ঘটনা ঘটেছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন কক্সবাজার থেকে ১০টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি ছাড়ে ১১টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটিতে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছে। ট্রেনটিতে ঢাকাগামী ‘মহানগর গোধূলী’ প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল। প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়তে ৩০ মিনিট দেরি হতে দেখে যাত্রীরা চট্টগ্রাম স্টেশনে কল করে গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেন ৩টা ১০মিনিটে ছেড়ে যায়।

এদিকে ৫ মিনিটের ব্যবধানে ট্রেন মিস করার কারণে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী চট্টগ্রাম স্টেশনে বিক্ষোভ করে। পরে তারা স্টেশন মাস্টার আবু বকরের রুমের সামনে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

কয়েকজন যাত্রী বলেন, রেলওয়ের অব্যস্থাপনার কারণে এমন দুর্ভোগে দায়ীদের যেন বিচার করা হয়।

এসময় জয়নাল নামের এক যাত্রী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী যাত্রী মনিরুল ইসলাম, জয়নাল, সুমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে দেখে আমরা কল করে চট্টগ্রাম স্টেশন মাস্টারসহ সংশ্লিষ্টদের। তাদের গোধূলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি কয়েক মিনিট দেরিতে ছাড়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু আমরা চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছার ৫ মিনিট আগে ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। এতে শিশু ও নারীসহ প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রী ট্রেন মিস করি। এর দায়ভার রেলওয়েকে নিতে হবে। আমরা দায়ীদের বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. আবু বকর বলেন, কক্সবাজার লাইনে পুরাতন ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালানো হয়। প্রায় সময় এমন দেরি হয়। আজ ঢাকাগামী অন্য কোনো ট্রেন না থাকায় সেখানেও ট্রেন মিস করা যাত্রীদের তুলে দিতে পারিনি।

ট্রেন ১ মিনিট দেরিতে বা আগে ছাড়ার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে বলে জানান তিনি।

এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন অস্থায়ী পয়েন্টসম্যান উজ্জ্বলের অনুপস্থিতির কারণে পয়েন্ট তৈরিতে দেরি হয়। এতে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনটি ষোলশহর স্টেশনে প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরগামী ট্রেন মেঘনা এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ায় বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে যাত্রীরা। মেঘনা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার কথা সন্ধ্যা ৬টায়, কিন্তু ছেড়েছে ৭টা ৫০ মিনিটে। এ কারণে কিছু যাত্রী ভাঙচুর করেন। মেঘনা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেসে। মূলত কক্সবাজার থেকে প্রবাল এক্সপ্রেস দেরিতে চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কারণে এই বিলম্ব হয়।

সিএম/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm