কর্ণফুলীতে অটোরিকশা চালকদের হামলায় সার্জেন্টসহ আহত ২ পুলিশ, আটক ১৪

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে উল্টোপথে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক ও একাধিক সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করেছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকার ফসিল ফুয়েল গ্যাস স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিএমপি কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, উল্টোপথে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশাকে বাধা দিলে চালক ও তার সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে দায়িত্বে থাকা সার্জেন্ট ইমতিয়াজ শাহরিয়ার ও কনস্টেবল সালাউদ্দিন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

অন্যদিকে সিএনজি চালকদের দাবি—গাড়ি আটক করে হয়রানিমূলক মামলা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, সেখান থেকেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

আহত সার্জেন্ট ইমতিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, ঘটনার সময় আমরা দুইজন সার্জেন্ট ও পাঁচজন কনস্টেবল দায়িত্বে ছিলাম। উল্টোপথে একটি সিএনজি আসায় বাধা দিলে চালকরা দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমি ও কনস্টেবল সালাউদ্দিন আহত হই।

ঘটনার পরপরই কর্ণফুলী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনকে আটক এবং একাধিক সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে।

আটক সিএনজি চালক আবদুল কাদেরের আত্মীয় আবুল কালাম দাবি করেন, যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আমার আত্মীয়কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

মইজ্জ্যারটেক ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) আবু সাঈদ বাকের বলেন, আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, উল্টোপথে গাড়ি চলাচলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আটকদের নাম পরে জানাতে পারব। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

জেজে/ডিজে

ksrm