ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীতে বাড়ছে চোরের দৌরাত্ম্য। গৃহকর্মীর আড়ালে কাজ খোঁজার আড়ালে বাসা লুটে তৎপর হয়ে উঠেছে একটি চক্র। বাসা থেকে স্বর্ণ ও মোবাইল লুট করার ঘটনায় এ চক্রের দুই নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুই চোর হলেন—রোজিনা বেগম (৪০) এবং তাসনুভা বেগম (২২)। তারা পেশায় গৃহকর্মী।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুই চোরকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত করে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন। এর আগে রোববার দুপুরে নগরীর থানার দেওয়ানবাজার এক নম্বর গলির নিরাপদ হাউজিং-২ এর আল-মদিনা ভবনে চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর গৃহকর্তা বাদি হয়ে মামলা করেন।
জানা গেছে, গৃহকর্মী সেজে চোরের এই চক্র কাজের খোঁজে এলাকায় এলাকায় ঘোরেন। তাদের সাথে থাকা ব্যাগে সবসময় তালা ভাঙার জিনিসপত্র রাখেন। কোনো বাসা ফাকা পেলেই তালা ভেঙে স্বর্ণ, টাকা-পয়সাসহ দামি জিনিসপত্র লুট করেন। রোববার দুপুরে দেওয়ান বাজার এক নম্বর গলির নিরাপদ হাউজিংয়ের ওই বাসার বাসিন্দারা ঈদের শপিং করতে যান। ঘর ফাঁকা পেয়ে রোজিনা ও তানসুভা তালা ভেঙে স্বর্ণ ও মোবাইল ফোন চুরি করেন। শপিং শেষে বাসায় এসে ঘরের লোকজন দেখতে পায়, আলমারির তালা ভাঙা ও রুমের ভেতরে কাপড়-চোপড় এলোমেলো। তারপর ৯৯৯-এ ফোন কর বিষয়টি পুলিশকে জানান এবং এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।
পরে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে রোজিনা এবং তাসনুভাকে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তারা।
গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে চুরি হওয়া একটি স্মার্টফোন, স্বর্ণের আংটি, ৪০ হাজার টাকা মূল্যের এক জোড়া স্বর্ণের কানের ঝুমকা, ২৮ হাজার টাকা দামের এক জোড়া কানের দুল এবং কাপড়ের ব্যাগের ভেতর তালা ভাঙ্গার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, মামলা হওয়ার পর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িত রোজিনা এবং তাসনুভাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরএ/ডিজে