কক্সবাজারের চকরিয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে গ্যারেজ মালিককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এছাড়া জমি নিয়ে বিরোধে চাচাকে ছুরি মেরে খুন করেছে ভাতিজা।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চকরিয়া পৌরশহর ও বদরখালী ইউনিয়নে পৃথক ঘটনা দুটি ঘটেছে। পুলিশ দুইজনের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন—ফুলতলা গ্রামের ছাবের আহমদের ছেলে হারুনুর রশীদ (৪৫)। অপরজন হলেন টমটম চালক গিয়াস উদ্দিন (৪৫)। তিনি উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের দিঘির পাড়ের গোলাম কাদেরের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামে সিএনজি অটোরিকশা চালক হারুনুর রশীদ ও বড় ভাই শেখ আহমদের মধ্যে জায়গার বিরোধ নিয়ে ঝগড়া হচ্ছিল। এ সময় শেখ আহমদের ছেলে খোকা চাচা হারুনুর রশীদকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনার পর তার বড় ভাই শেখ আহমদ ও খোকা পলাতক রয়েছে।
এদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে টমটম চালক গিয়াস উদ্দিনকে অপহরণের পর পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতুর কাছে সড়কে। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশের খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
গিয়াস উদ্দিনের পরিবার জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে স্থানীয় মিন্টুসহ মোটরসাইকেল নিয়ে চিরিঙ্গা পৌরশহরে যান গিয়াস উদ্দিন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তৌহিদ ও তার পাঁচ সহযোগী মাতামুহুরী সেতু এলাকায় মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। মোটরসাইকেল আরোহী মিন্টুকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে দূরে দাঁড় করিয়ে রেখে গিয়াস উদ্দিনকে কার গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় তারা। এরপর মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে গিয়ে বিষয়টি জানায়।
গিয়াসের স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম বলেন, আমার স্বামীকে অপহরণের বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানানোর পরে থানায় অবগত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে। শনিবার ভোরে মহাসড়কের মাতামুহুরী সেতু এলাকা থেকে আমার স্বামীর লাশ উদ্ধার করে চকরিয়া থানার পুলিশ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, পূর্ব শত্রুতা ও জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। টমটম গ্যারেজ মালিককে ভারী বস্তুু দিয়ে মাথায় আঘাতের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। অপরদিকে বদরখালীতে ভাতিজা কর্তৃক আপন চাচাকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়েছে।
ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পৃথক এই খুনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে।
ডিজে