চট্টগ্রামে জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে দুই প্রাণ ঝরে গেল, আইসিইউতে ১

চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত আটজন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নগরের মুরাদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আইয়ুব আলী (৬০) ও নগরের কালামিয়া বাজার এলাকার কিশোর সাইফুল ইসলাম (১৩)। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে সকালে ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে জশনে জুলুস শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মানুষ অংশ নেন। ১৯৭৪ সাল থেকে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর এ জুলুস অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারের আয়োজন ছিল ৫৪তম।

শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন সৈয়দ মুহাম্মদ সাবের শাহ। অতিথি ছিলেন সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও সৈয়দ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ। ভোর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষ ট্রাক, পিকআপ ও পায়ে হেঁটে মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হন। সড়কের মোড়ে মোড়ে শরবত, বিশুদ্ধ পানি ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়। পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো হয় প্রধান সড়কগুলো।

নগর পুলিশ জানায়, জুলুস ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দা সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়। যান চলাচলের জন্য বিকল্প সড়কের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আয়োজকরা জানান, পবিত্রতা বজায় রাখতে ড্রাম সেট বাজানো, নারীর অংশগ্রহণ ও খাবার নিক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে এ বছর শোভাযাত্রার পথও ছোট করা হয়। ষোলশহর থেকে শুরু হয়ে মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট ও জিইসি মোড় ঘুরে একই পথে মাদ্রাসা মাঠে ফিরে আসে জুলুস।

১৯৭৪ সালে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) এই জশনে জুলুসের সূচনা করেন। এরপর থেকে প্রতিবছর আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে এ শোভাযাত্রা হয়ে আসছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm