চট্টগ্রামের পটিয়ায় কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন হঠাৎ ১৮টি বগি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ঘটনায় প্রায় ৯০০ জন যাত্রী আটকা পড়েছে। অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে তারা।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কমলমুন্সির হাট স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসার পর কমলমুন্সির হাট স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিনের বাফার হুক ও হোস পাইপ ভেঙে যায়। এতে ইঞ্জিন বগিগুলো থেকে আলাদা হয়ে যায়।
এ সময় চালক ইঞ্জিন নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যান, আর যাত্রীবোঝাই বগিগুলো স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে। রাত ১১টা পর্যন্ত বগিগুলো রেললাইনে স্থির অবস্থায় ছিল। পরে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হয়।
পটিয়ার স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ পাভেল জানান, ‘ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিনের হুক ভেঙে বগিগুলো আলাদা হয়ে যায়। এতে যাত্রীরা আটকা পড়ে। চট্টগ্রাম থেকে একটি সাপোর্ট ইঞ্জিন রওনা দিয়েছে। এটি পৌঁছালে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পাঠানো হবে।’
ঘটনার সময় ট্রেনে প্রায় ৯০০ যাত্রী ছিলেন। তারা দীর্ঘ সময় ভোগান্তির শিকার হন। অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত ২৬ জুলাই একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেদিন কক্সবাজার এক্সপ্রেসের গার্ড ব্রেক বগি মূল ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদণ্ডী স্টেশন এলাকায়।
প্রায় ৩০ মিনিট ট্রেনটি সেখানে আটকে থাকার পর বিচ্ছিন্ন বগি ফেলে মূল ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একের পর এক এ ধরনের ঘটনার কারণে রেলওয়ের যান্ত্রিক ত্রুটি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন যাত্রীরা।
জেজে/ডিজে