চট্টগ্রাম কারাগারে হাজতির মৃত্যু, পরিবারের দাবি ‘হত্যা’

আপন ভাইকে হারিয়ে হাসপাতালে গড়িয়ে গড়িয়ে কাদঁছেন আবু বক্কর। আর বলছেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে তার ভাই আবুল কালামকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে।

তবে চট্টগ্রাম মেডিকেলের চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন কালাম। তবে ময়নাতদন্তের শেষেই জানা যাবে বিস্তারিত।

১৩ অক্টোবর, সকাল ৭টার দিকে কালামের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার। চট্টগ্রাম কারাগার থেকে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ছুটে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে গিয়ে কালামের নিথর দেহ দেখতে পান তারা।

এর আগে নগরীর বাকলিয়ায় দই-চিড়া খাওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে গ্যারেজ মালিক সাজন হত্যা মামলায় কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় নিহত কালামের ছোট ভাই আবু বক্করকেও আসামি করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।

এছাড়া কালামের মামলাটি নিয়ে, কালু নামে একলোক চাঁদা দাবি করার তথ্যও দিয়েছেন পরিবারের লোকজন।

নিহত কালামের পরিবারের অভিযোগ, বাকলিয়ার সাজনকে গুরুতর জখম করার পর, কালাম নিজেই হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছিল। সেখানে মব বানিয়ে, তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় সাজনের লোকজন।

তারা বলছেন, নিহত সাজনের সঙ্গে কালামের কোনো শত্রুতা ছিল না। ষড়যন্ত্র করে কালামকে হত্যা মামলায় আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়। বাদি পক্ষের যোগসাজশে, কারাগারে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত কালামের ছোট ভাই আবু বক্করকে হুমকি দেওয়ার একটি কল রেকর্ড চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে এসেছে। কল রেকর্ডে শোনা যায়, কালু নামের একলোক আবু বক্করের কাছে টাকা দাবি করছেন। শুধু তাই নয়, তার গাড়ি আটকে রাখার হুমকিও দেন ওই লোক।

এসব বিষয়ে কালামের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সাজনকে মারার পর কালাম গিয়েছিল মেডিকেলে দেখতে। সেখানে ইউসুফ, আকবরসহ, কিছু মহিলা তাকে পুলিশে দেয়। রোববার আমরা তাকে, কারাগারে সুস্থ অবস্থায় দেখেছি, আজ সোমবার সকালে জেল থেকে বলা হয়, সে মারা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কারাগারের জেলারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এমএ/ডিজে

ksrm