চবি শিক্ষার্থী-গ্রামবাসী সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার ৮, আসামি ১০৯৫ জন
এজাহারে নেই ছাত্রী মারধরের অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতভর হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজ আটজন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হয় এবং আটজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
গ্রেপ্তার আটজন হলেন—ইমরান হোসেন (৩৫), হাসান (২২), রাসেল (৩০), আলমগীর (৩৫), নজরুল ইসলাম (৩০), জাহেদ (৩০), আরমান (২৪) ও দিদারুল আলম (৪৬)। তাঁরা সবাই হাটহাজারীর ফতেহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এর মধ্যে ইমরান, হাসান ও রাসেল মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাটহাজারী থানায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) আবদুর রহিম বাদি হয়ে দায়ের করা মামলায় ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও এক হাজারজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় স্থানীয় জোবরা গ্রামের যুবলীগ নেতা মো. হানিফ, মো. ইকবাল, মো. রেজাউল, মো. সরোয়ার, সোলাইমান, মহি উদ্দিন, খোরশেদ, জিসান ও আরমানের নাম রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ান মারধর করলে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে মামলার এজাহারে এই ঘটনার উল্লেখ নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মামলার বাদি আবদুর রহিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এজাহার প্রস্তুত করা হয়েছে।
গত শনিবার দিবাগত রাত থেকে পরদিন রোববার দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয়দের দাবি, এ ঘটনায় তাদেরও অন্তত ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।
জেজে/ডিজে