কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক ব্যবসায়ীকে মেরে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা লুট করেছে ডাকাত দল। এছাড়া পৃথক অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় বন্দুকসহ ধরা পড়েছে তিন যুবক।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের নিভৃত নিসর্গ পর্যটন স্পর্টের অদূরে সেগুনবাগান এলাকায় ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। একইদিন রাত ৯টায় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলি থেকে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত ব্যক্তির নাম লক্ষণ মোহন্ত (৫৮)। তিনি একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। তাকে স্থানীয় বাসিন্দা লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আহত লক্ষণ মোহন্ত বলেন, লামা উপজেলার ইয়াংছা বাজারে আমার একটা ওষুধের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে করে চকরিয়ার বাড়ি চলে আসছিলাম। সুরাজপুর এলাকার সেগুনবাগান এলাকায় পৌঁছালে মুখোশ পরিহিত একদল ডাকাত গতিরোধ করে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে মার সহ্য করতে না পেরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ওরা মোটরসাইকেল, মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ঘটনাটি শোনার পরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং মোটরসাইকেল ও মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
এদিকে ডাকাতির প্রস্ততির সময় তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেশীয় তৈরি বন্দুক (এলজি), ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১টি লোহার হাতুড়ি।
গ্রেপ্তার তিন ডাকাত হলেন—চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদার পাড়া এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে জিসান (২০), সাহারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরালখালী এলাকার কালু ফকিরের ছেলে মো.আবদুল্লাহ (২২) ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের পূর্ব কালাগাজী সিকদার পাড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শাহাজাহান (৪২)।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, বেশ কযেকজন ডাকাত পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির প্রস্ততি নিচ্ছে, গোপনে জানতে পারি। এরপর অভিযান চালিয়ে তিন ডাকাতকে পৌরশহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় বন্দুক (এলজি) , ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও একটি লোহার হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ডাকাতির মামলা রয়েছে। এই ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ডিজে