টেকনাফের আরও ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সাগরে মাছ ধরার সময় তিনটি ফিশিং বোটসহ আরও ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন ‘আরাকান আর্মি’। এনিয়ে ৫ আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৬৯ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে তারা।

রোববার (৩১ আগস্ট) ভোর ৬টায় উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমে সাগরে বাদর হাচা নামের স্থান থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনটি ফিশিং বোটসহ জেলেরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংদিয়া নামের পাতনজা ঘাঁটিতে রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

অপহৃত জেলেরা হলেন—সেন্টমার্টিন গলাচিপা ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দার আবু তাহের মাঝি, মনি উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আবু বক্কর, সৈয়দ উল্লাহ, রফিক, আবছার মাঝি, মো. তাহের, মতলব, হাফেজ আহমদ, মো. আমিন, সালা উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর মাঝি, আব্দুর রহিম, মো. আলম, সাব্বির, তৈয়ুব। ফিশিং বোট তিনটি আবছার, আবু তাহের ও আলমগীরের মালিকানাধীন। ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি অপহরণের শিকার জেলেদের।

সেন্টমার্টিন ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ জানান, রোববার ভোর ৬টায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণের পূর্বে বাংলাদেশ জলসীমানায় সাগরের বাদর হাচা নামের এলাকায় মাছ শিকারে যায় জেলেরা। এ সময় আরাকান আর্মি দুটি স্পিডবোটে এসে তিনটি ফিশিং বোট সহ ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। সোমবার সকাল ৭টায় তিনটি ফিশিং বোটসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া বিষয়টি ঘাটে ফিরে আসা অন্য জেলেদের কাছ থেকে জানতে পারি।

তিনি আরও জানান, ফিশিং বোট তিনটি সেন্টমার্টিন গলাচিপা নৌঘাটের। প্রাথমিকভাবে জানতে পারি, আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা জেলেরা সবাই গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।

এএইচ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm