তিন মাসে মামলা নিষ্পত্তির হার কমেছে চট্টগ্রামের গ্রাম আদালতে

মামলা নিষ্পত্তি ও গ্রহণের হার বেশি মিরসরাইয়ে

স্থানীয় বিরোধ, স্থানীয়ভবে নিস্পত্তি করার জন্য কাজ করছে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালত সক্রিয় হলে চাপ কমবে উচ্চ আদালতের ওপর। চলমান পরিস্থিতিতে ১৯১টি ইউনিয়নের মধ্যে অনেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নেই, প্রশাসকগণ দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিটি ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উদ্যোগ নিবেন। কোন অবস্থাতেই গ্রাম আদালতের সেবা বন্ধ রাখা যাবে না।

রোববার (১৮ মে) দুপুর ৩টার দিকে সাকিট হাউসের সম্মেলন কক্ষ চট্টগ্রামে জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।

সভায় গত জানুয়ারি-মার্চ মাসের মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তির উপজেলা ভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক। তথ্যে দেখা গেছে, মামলা নিষ্পত্তির হার কম।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সেবাসমূহ নিশ্চিত করতে আমরা প্রশাসক দিয়েছি। গ্রাম আদালতের সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসকরা প্রয়োজনে প্যানেল চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব দিয়ে গ্রাম আদালত সক্রিয় করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের বিচারিক সেবা বন্ধ রাখা যাবে না। আগামী ১ থেকে দেড় বছরের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে গ্রাম আদালত কী এসময় বন্ধ থাকবে? নির্বাচনের জন্য কাজ বন্ধ রাখা যাবে না।

সভায় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক নোমান হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের বেশিরভাগ ইউনিয়ন এ চেয়ারম্যান যেমন নেই, তেমনি রাজনৈতিক সহিংসতাসহ নানা জটিল পরিস্থিতির কারণে গ্রাম আদালত পরিচালনার পরিবেশ নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেও মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তি চলমান আছে। মীরসরাই উপজেলায় গত মাসে মামলা নিষ্পত্তি ও গ্রহণের হার বেড়েছে। এ উপজেলার অভিজ্ঞতাকে আমরা কাজে লাগিয়ে সকল উপজেলায় মামলা গ্রহণ ও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে পারব।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৫ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধি, গ্রাম আদালত প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজারসহ জেলা গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm