এইচএসসি পরীক্ষায় ফল জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এক সাবেক কর্মকর্তাকে।
শিক্ষা বোর্ডের ওই কর্মকর্তা হলেন কিবরিয়া মাসুদ খান। তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী মিজানুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান উচ্চ আদালতের নির্দেশে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা চান। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, নক্ষত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরপর শুরু হয় গুঞ্জন, কারণ সে সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ছিলেন তার বাবা।
ফলাফল প্রকাশের পর গুঞ্জন ওঠে, প্রভাব খাটিয়ে সন্তানকে জিপিএ-৫ পাইয়ে দিয়েছেন নারায়ণ চন্দ্র নাথ। পরে বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর তদন্ত স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে যান নারায়ণ চন্দ্র নাথ। এ বিষয়ে আট সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত।
কিন্তু তদন্তে ফল জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হলে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বোর্ডকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়। একই বছরের ২৪ অক্টোবর শিক্ষা বোর্ডের শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নক্ষত্রের ফল বাতিল করা হয়।
ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ এনে গত ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. একেএম সামছু উদ্দিন আজাদ এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র নাথ ও তার ছেলে নক্ষত্র দেব নাথ এবং শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আখতার।
ডিজে