ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্লাবিত হয়েছে। এতে ৮০০ ঝুপড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
সোমবার (৭ জুলাই) উপজেলা দুটির রোহিঙ্গা ব্লকে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে টানা ভারী বৃষ্টিতে উখিয়া ও টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একাধিক ব্লকে পানি বেড়ে গিয়ে প্লাবিত হয়েছে।
তথ্যমতে, ৩ হাজার রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৮০০ ঝুপড়ী ঘরে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি শতাধিক বসতি। ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে কয়েক শত পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে খাদ্য সহায়তায় দেওয়া হচ্ছে।
ক্যাম্প -১৪ এর রোহিঙ্গা খলিল আহমেদ বলেন, সারাদিনে বৃষ্টি একটুও কমেনি। এর মধ্যে আজ আমাদের ক্যাম্পে পাহাড় ধসে কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
উনচিপ্রাং ২২ নম্বর ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মো. রফিক বলেন, সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ক্যাম্প থেকে দ্রুত পানি সরে যেতে না পেরে অধিকাংশ ব্লকে পানি বেড়ে গিয়ে একাধিক ঘরের মানুষ পানিবন্দি। পানি যতক্ষণ পুরোপুরি নেমে যাবে না এভাবে থাকতে হবে।
রোহিঙ্গা নেতা মো. তৈয়ব বলেন, ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের বসতিতে পানি ঢুকে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার অনেকেই নিরাপদ স্থানে সরে গেছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি জায়গা আছে, তাদেরকেও সরে যেতে বলা হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিক রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর রাখছি।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সোমবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার শরণার্থী কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধস হয়েছে। তবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। টানা বৃষ্টিতে একাধিক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পানি উঠেছে। কয়েক শ’ পরিবার পানিবন্দি। অনেকেই লার্নিং সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছেন।
ডিজে