সাঙ্গু নদীতে নিখোঁজের ২৩ ঘণ্টা পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে নিখোঁজের ২৩ ঘণ্টা পর আবদুল করিম নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টার দিকে ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। টানা ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুপুর ১টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে দেড়শ ফুট দূরে করিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানান।

এর আগে গত ১৯ মে সোমবার দুপুর ২টার দিকে একই ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় সাঙ্গু নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ওই যুবক নিখোঁজ হন।

করিম (২১) কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ট্যাংখালি ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. হোসেনের ছেলে এবং সাতকানিয়ার কাটগড় এলাকার মো. শাহেদ নামে এক ব্যক্তির পোল্ট্রি খামারের কর্মচারী ছিলেন।

সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আজাদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে কর্মরত ডুবুরি দলের পাঁচ সদস্য সাঙ্গু নদীতে অভিযান চালায়। তারা নিখোঁজের স্থান থেকে দেড়শ ফুট দূরে নদীর তলদেশ থেকে আবদুল করিম নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ নিয়ে কোনো ভিন্নমত না থাকলে বৈধ অভিভাবকের নিকট লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তা নাহলে থানায় লাশ দিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অভিযান চালালেও ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

পোল্ট্রি খামারের মালিক মো. শাহেদ জানান, বিগত দেড় মাস ধরে করিম আমার মুরগির ফার্মে চাকরি করছিল। ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে সে ভাত খেয়ে ফার্মের পার্শ্ববর্তী সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নামে। এসময় তার সঙ্গে এলাকার আরও কয়েকজন ছেলে ছিল। গোসল শেষে অন্যরা নদী থেকে উঠে আসতে সক্ষম হলেও করিম পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় হাত জাল দিয়ে প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তারা উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করে চলে যায়।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস মারা যাওয়া যুবকের মরদেহ থানার হস্তান্তর করলে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm