ইসলামী আন্দোলন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইসলাম সোহাগের বিরুদ্ধে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ক্লিপ দিয়ে যুবলীগ নেতা সাজানোর চেষ্টার প্রতিবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

মঙ্গলবার (২০ মে) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জান্নাতুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনেকের সঙ্গে ছবি থাকতে পারে। এমন কিছু ছবি ব্যবহার করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার বর্তমান সেশনের মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ইসলাম সোহাগ ও তার বাবা বাকলিয়া থানা শাখার সভাপতি সালাউদ্দিন সওদাগরকে একটি মহল জোরপূর্বক আওয়ামী লীগ বানানোর খেলায় মেতে উঠেছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, সোহাগ ও তার পরিবারের ওপর বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায় নামধারী যুবদল নেতা দিদারুল আলম দিদার এবং তার বাহিনী। যা আমাদের নজরে এসেছে এবং প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া সোহাগের বয়স্ক বাবা হাজী সালাউদ্দিন সওদাগরের বিভিন্ন কাট করা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। যা দেশের সাইবার আইন অনুযায়ী মারত্মক অপরাধ।

এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম সোহাগ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজপথের পরীক্ষিত সৈনিক। সোহাগ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমার জানা মতে, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় সোহাগ ও তার বাবা সালাউদ্দিন সওদাগর বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে। কিন্তু সরকার পতনের পর যুবদল নেতা দিদার ও তার সহযোগী আওয়ামী পরিবারের ভাইয়েরা সোহাগের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাদের কর্মীর বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে। মূলত তারা আওয়ামী পরিবারের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। তার আপন ভাই আলমগীর ছিলেন যুবলীগের ক্যাডার। বর্তমানে তিনি পলাতক থাকলে এখন আধিপত্য বিস্তারের দায়িত্ব নিয়েছেন তার আরেক ভাই যুবলীগ নেতা আজগর ও দিদার।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা দেখেছি, মিথ্যা ও হয়রারিমূলক মামলাসহ গত ১৭ মে একটি সংবাদ সম্মেলন করে তারা। যেখানে সোহাগকে যুবলীগকর্মী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সোহাগ ও তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সোহাগের বাবা সালাউদ্দিন সওদাগর বাকলিয়া থানা শাখার মূল দলের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। গত ৫ মে মুরাদপুরে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা হয়। সেই ঘটনায় আহত এক পুলিশ সদস্য বেশ কয়েকজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় কোনো একটি মহলের ইন্ধনে সোহাগ ও তার বাবা সালাউদ্দিন সওদাগরকে আসামি করা হয়।

জান্নাতুল ইসলাম আরও জানান, ৫ মে ভিন্ন একটি সংগঠনের ডাকা কর্মসূচির সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার দলের সোহাগ বা কোনো নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়নি। অতএব, এই মামলার আসামি থেকে তাদের বাদ দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm