এনসিপি তারুণ্যের শক্তি, বাধা দিয়ে এ শক্তিকে থামানো যাবে না—চট্টগ্রামে নাহিদ
সমাবেশ শেষে দুই গ্রুপের মারামারি
চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট থেকে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মিছিল নিয়ে পদযাত্রা করে বিপ্লব উদ্যানের সমাবেশে যোগ দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় দলটির নেতাকর্মীদের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে—‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তোর বাপদাদার’সহ বিভিন্ন স্লোগান।
এ সময় সমাবেশে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাধা দিলে বাঁধবে লড়াই, এ লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা আজও বলতে চাই, জাতীয় নাগরিক পার্টি তারুণ্যের শক্তি, বাঁধা দিয়ে এ শক্তিকে থামানো যাবে না।’
এ সময় মঞ্চ থেকে মুর্হুমুহু স্লোগান দিতে থাকেন নেতারা। সমাবেশস্থলে আসা হাজারো মানুষের করতালি আর স্লোগানে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে বিপ্লব উদ্যান।
রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র ২০ তম দিনে নগরীর বহদ্দারহাট মোড় থেকে পথযাত্রা করে এনসিপি নেতাকর্মীরা।
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তরুণ প্রজন্ম জাগলে ইতিহাস তৈরি হবে। এ তরুণ প্রজন্মকে অর্থ দিয়ে কেনা যায় না, লোভ দিয়ে কেনা যায় না, হাসিনা চেষ্টা করেছিল কিন্তু কিনতে পারে নাই।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ ও জোবায়রুল হাসান আরিফ, যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা ও মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সালমা নিভা এবং জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক তারেক আলী।
এ সময় এনসিপি নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনীম জারা, তাসনুভা আলম।
এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিল নিরাপত্তাবাহিনী।
এদিকে সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা চলে যাওয়ার পর নগরীর বিপ্লব উদ্যানে এনসিপি নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
আরএ/ডিজে