চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাসসহ পাঁচ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব।
আটক পাঁচ মাদক কারবারিরা হলেন— লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষীপুর সদর থানার পাটোয়ারী বাড়ির আব্দুল মতিনের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪১), কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার রসুলপুর গ্রামের ফিরোজের ছেলে মো. মাঈন উদ্দিন (৩০), পটিয়া পৌরসভার হাবিবুর পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে মো. রাশেদুল আলম (৩৮), একই উপজেলার কাগজীপাড়া আল্লাই এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেরে মো. জসিম উদ্দিন (৪১) ও জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানার আবদুস সামাদ তরফদারের ছেলে মো. জুনায়েদ তানভীর তরফদার (২৯)।
রোববার (৯ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কিছু মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার থেকে দুটি হাইস মাইক্রোবাসযোগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে আসছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ৮ নভেম্বর (শনিবার) সকাল সাড়ে আটটার দিকে র্যাব-৭ এর একটি দল মোজাফফরাবাদ কাদের ফিলিং স্টেশনের সামনে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে।
চেকপোস্টে সন্দেহভাজন দুটি মাইক্রোবাস পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে একটি মাইক্রোবাস আটক করতে সক্ষম হয়।
তল্লাশি করে গাড়ি থেকে আটক করা হয় মাদক কারবারিকে। প্রথম তাদের একজনের পকেট থেকে ১০ পিস ইয়াবা এবং গাড়ির সিটের নিচ থেকে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যমতে, পটিয়া থানার কচুয়াই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অপর একটি মাইক্রোবাসের ভেতরে রাখা ছাই রঙের ব্যাগ থেকে সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৭ আরও জানায়, উদ্ধার করা মাদকের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়া মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের কোনও ছাড় নেই। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে র্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ডিজে


