কর্ণফুলীতে মধ্যরাতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা পুষ্পস্তবক অর্পণ শহীদ মিনারে

মহান স্বাধীনতা দিবসে কর্ণফুলী উপজেলা কমপ্লেক্সের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন কর্ণফুলী উপজেলা তৃণমূল জয় বাংলার সৈনিকরা (টি.জেবি)। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে সেহরির পর তারা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সেখানে লেখা ছিল, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। ঐতিহাসিক ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বীর শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সৌজন্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার আদর্শের টি.জেবি, কর্ণফুলী উপজেলা তৃণমূল জয় বাংলার সৈনিক বৃন্দ।’

তবে এনিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের নির্ধারিত সময়ের আগেই মধ্যরাতে টি.জেবি সদস্যরা ফুল দেন। প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা ভোরে পৌঁছানোর আগেই শহীদ মিনারে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ হয়ে যায়। সকালে উপজেলা প্রশাসন শহিদ মিনারে গেলে পুষ্পস্তবক দেখতে পেয়ে দ্রুত সরানো হয়।

জানা গেছে, কর্ণফুলী উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গঠন করা হয়েছে, যার সংক্ষিপ্ত নাম ‘টি.জেবি’। শুরুতে এতে সিনিয়র ও জুনিয়র নেতারা যুক্ত হলেও পরবর্তীতে নানা কারণে অনেকে গ্রুপটি ত্যাগ করেন।

গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়া একাধিক নেতাকর্মীর জানান, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর দলে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা ও হামলার ঘটনা ঘটলেও নেতাকর্মীদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। অভিমান, অসন্তোষ ও দলীয় কোন্দলের কারণে অনেক সিনিয়র নেতা নেতৃত্ব থেকে দূরে সরে যান। ফলে নতুনভাবে সংগঠিত হয়ে ‘কর্ণফুলী উপজেলা তৃণমূল জয় বাংলা (টি.জেবি)’ আত্মপ্রকাশ করে।

এ বিষয়ে জানতে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়া ত্রিপুরার মুঠোফোনে কল করলেও তারা রিসিভ করেননি।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘আমি ভোরে ফুল দিতে যাইনি, তবে ওসি তদন্ত গিয়েছিলেন। উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের ভেতরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয়েছে। ভোরে কারা ফুল দিয়ে গেছে, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’

এদিকে কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ প্রদর্শনী, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহিদ পরিবারের সদস্যরা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা, স্কাউটস, রোভার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

জেজে/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm